নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় করা দুটি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এতে র্যাবের তিন কর্মকর্তা ও পলাতক নুর হোসেনসহ ৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপমের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১১ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেছেন।
এ সময় আদালতে একটি মামলার বাদী ও নিহত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি উপস্থিত ছিলেন।
তবে চার্জশীটে এজাহারভুক্ত ৫ আসামীর নাম বাদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেলিনা ইসলাম।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কেএম ফজলুর রহমান জানান, দুই মামলায় অভিযোগপত্র নিয়ে বিচারক আগামী ১১ মে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন রেখেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগপত্রে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৫ র্যাব সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। বাকি ১০ জনের মধ্যে নূর হোসেনও রয়েছেন।
ফজলুর রহমান বলেন, অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২৭ জনকে দুই মামলায় সাক্ষী করে ১৬২টি আলামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়। অভিযোগ আছে, নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে তার প্রতিপক্ষকে খুন করে র্যাব।
সাত খুনের দুটি মামলায় এ পর্যন্ত র্যাবের ১৭ সদস্যসহ মোট ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ র্যাবের ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। বাকি ১১ জন মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ ও বেতনভুক্ত কর্মচারী। নূর হোসেন বর্তমানে কলকাতার একটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
Leave a Reply